কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপগুলোর সাহায্যে ডেটাসেটের গড় বা কেন্দ্রীয় মানটি নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপ ব্যবহার করা হয়: গড় (Mean), মধ্যক (Median), এবং মোড (Mode)। এদের মধ্যে পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
সংজ্ঞা:
ডেটাসেটের সমস্ত উপাত্তের যোগফলকে উপাত্তের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে গড় নির্ণয় করা হয়।
উদাহরণ:
ডেটাসেট: ২, ৪, ৬, ৮, ১০
গড় = (২ + ৪ + ৬ + ৮ + ১০) / ৫ = ৬
বৈশিষ্ট্য:
সংজ্ঞা:
ডেটাসেটকে ক্রমানুসারে সাজানোর পর মাঝের উপাত্তটি মধ্যক।
উদাহরণ:
ডেটাসেট: ২, ৪, ৬, ৮, ১০
মধ্যক = ৬ (মাঝের উপাত্ত)
ডেটাসেট (সমান সংখ্যক উপাত্ত): ২, ৪, ৬, ৮
মধ্যক = (৪ + ৬) / ২ = ৫
বৈশিষ্ট্য:
সংজ্ঞা:
ডেটাসেটের মধ্যে যে উপাত্তটি সবচেয়ে বেশি বার উপস্থিত, সেটি মোড।
উদাহরণ:
ডেটাসেট: ২, ৪, ৬, ৬, ৮
মোড = ৬ (সবচেয়ে বেশি বার উপস্থিত)
বৈশিষ্ট্য:
বৈশিষ্ট্য | গড় (Mean) | মধ্যক (Median) | মোড (Mode) |
---|---|---|---|
উপযোগিতা | সমজাতীয় ডেটাসেট | বিচ্যুতিমূলক ডেটাসেট | ঘন পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে |
সংবেদনশীলতা | চরম মান দ্বারা প্রভাবিত | চরম মান দ্বারা প্রভাবিত নয় | চরম মান দ্বারা প্রভাবিত নয় |
প্রকৃতি | পরিমাণগত | ক্রমানুসারে ভিত্তিক | গুণগত ও পরিমাণগত |
গাণিতিক ব্যবহার | সহজে ব্যবহারযোগ্য | তুলনামূলকভাবে কম | গাণিতিকভাবে সীমিত |
গড়, মধ্যক এবং মোড কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গড় একটি নির্দিষ্ট গাণিতিক মূল্য দেয়, মধ্যক চরম মান এড়াতে সাহায্য করে এবং মোড ডেটাসেটে ঘন পুনরাবৃত্তি খুঁজে বের করে। ডেটার প্রকৃতি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এই তিনটি পরিমাপের ব্যবহার নির্ভর করে।